নিজউ ডেস্ক: স্যাট নিউজ: ০৬ অক্টোবর: সতেরো বছরের যুবতীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করিমগঞ্জে । নিহত যুবতীর পিতা-মাতা সহ ডিএসও, এমএসএস এবং করিমগঞ্জের কয়েকটি সংগঠন পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করে। অভিযুক্তকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলা সংগঠনের সদস্যরা। ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে করিমগঞ্জের জেলাশাসকে স্মারকপত্র প্রদান করেন মৃত যুবতীর পরিবারের সদস্য সহ অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা।
উল্লেখ্য গত ১০ দিন পূর্বে করিমগঞ্জ শহর সংলগ্ন আম্বরখানা গ্রাম থেকে ১৭ বছরের এক যুবতী নিরুদ্দেশ হয়েছিল। আজ থেকে চার দিন পূর্বে পার্শ্ববর্তী এলাকা পনেরোঘরের লঙ্গাই নদী থেকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় নিরুদ্দিষ্ট যুবতীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের গলায় আঘাতের চিহ্নও ছিল স্পষ্ট। মহিলা সংগঠনের সদস্যারা সেই সময়েই অভিযোগ করে বলেছিলেন, ঘটনাটি ধর্ষণ করে হত্যাকান্ডের । অন্যদিকে, যুবতীটি নিরুদ্দেশ হওয়ার পরের দিনই লঙ্গাই পুলিশ ফাঁড়িতে নিরুদ্দিষ্ট সংক্রান্ত এক এজাহার দাখিল করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এমনকি নিরুদ্দেশ হওয়ার চারদিন পর মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকা শ্যামল দেবনাথ নামের যুবককে অভিযুক্ত করে আরও একটি এজাহার দাখিল করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ যুবকটিকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়ার পর আজ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ করেন সংগঠনগুলোর সদস্য সহ পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যাপক প্রতিবাদ সাব্যস্থ করেন তারা। মৃত যুবতীর বাবা মাও সংগঠনের সাথে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করে ন্যায় প্রাপ্তির আশায় জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকপত্র প্রদান করেন।
মৃত যুবতীর অভিভাবকরা জানান শ্যামল দেবনাথ নামের যুবকটির সাথে অনেকদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। নিরুদ্দেশ হওয়ার আগের দিন যুবকটি তাদের মেয়েকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তারা যুবকটিকে জানিয়েছিলেন যে, কিছুদিন পর সামাজিকভাবে তাদেরকে বিয়ে করিয়ে দেবেন। কিন্তু পরের দিনই মেয়েটি নিখোঁজ হওয়া এবং ছয় দিন পর বিবস্ত্র অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় অভিভাবকরা সম্পূর্ণরূপে দায়ী করেছেন যুবকটিকে। প্রতিবাদে যোগদান করা সংগঠনের সদস্যরা এক্ষেত্রে পুলিশের গাফিলতির কথা তুলে ধরেন। যার ফলে তারা বাধ্য হয়ে ন্যায় প্রাপ্তির জন্য জেলাশাসকের কাছে স্মারকপত্র প্রদান করেন।