অভিজিৎ বণিক: স্যাট নিউজ: ১৫ অক্টোবর: ভারতবর্ষে মোদি সরকার যখন দেশের প্রতিটি গ্রামে বৈদ্যু্তিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে । ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার । ঠিক তখনই দেখা গেল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও ভারতবর্ষের এমনও কিছু ঘর বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়ছে । তার উদাহরন করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি সমষ্টির কালিনগর জিপির ঈশানছড়া গ্রামের দশ নম্বর ওয়ার্ড । এই ওয়ার্ডে বেশকটি পরিবার বিদ্যুত্ সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন । ২০১৮ সালে জিপি নির্বাচনের প্রাগ মুহুর্তে ওই গ্রামে শিপ্রা নাথ , শ্যা মলী নাথ, কিষাণ নাথ, মণি নাথ, গৌতম নাথ নামের ব্যাক্তিদের হাতে একটি করে বৈদ্যু তিক মিটার ধরিয়ে মোবাইলের দ্বারা ছবি নিয়ে জিয়োট্যাগ করিয়ে কানেকশন দেওয়া হয়েছে বলে সরকারের খাতায় নাম নথিভুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । অথচ উনাদের ঘরে আজ পযর্ন্ত বিদ্যু ত সংযোগ হয়নি বলে উনারা সংবাদ মাধ্যম কে দেখান এবং জানান । এদিকে প্রতি মাসে বড় মাপের বৈদ্যু তিক বিল উনাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। সেই পাঁচটি পরিবার দিন মজুরের কাজ করে নিজেদের পরিবারের মূখে অন্ন যোগাচ্ছেন । এদিকে যখন খবর পান যে, এক হাজার টাকা করে খরচ করলে উনাদের ঘরে বিদ্যুতের লাইন চলে আসবে তখন উনাদের মাথায় যেন বজ্রপাত হয়। কারণ সেই বিদ্যুত সংযোগের জন্য সামান্য অর্থ টুকু যে খরচ করবেন সেই সামর্থ্যই নেই উনাদের। শীপ্রা নাথের পুত্র গৌতম নাথ সংবাদ মাধ্যম কে জানান, উনার ঠাকুরদা, পিতা সহ অনেকই উনাদের ঘরে বিদ্যু ত বিহীন অন্ধকারের মধ্যে নিজেদের জীবন কাটিয়ে পরলোক গমন করেছেন ।
বর্তমানে গৌতম নাথ নিজে এবং সাথে উনার পরিবারের নতুন প্রজন্মরাও বৈদ্যু তিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন। উনি আরো অভিযোগ করেন যে, ভোটের সময় কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল বৈদ্যুতিক পরিষেবা দিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় । কিন্তু কয়েক যুগ চলে যাওয়ার পরও আজ পযর্ন্ত সেই বিদ্যুুত পরিষেবা উনাদের কপালে জুটে নি । কোরনাকালের সময় ছাত্রছাত্রীরা যখন ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করছিল তখন উনাদের পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যু ত না থাকার কারণে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে । তাতে তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রচুর ক্ষতিও হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, বিদ্যুত না থাকার কারণে ছোটবড় ছাত্রছাত্রীরা দিনের আলোতেই পড়াশোনা শেষ করে নিচ্ছে কারণ সন্ধার পর থেকে চারিদিকেই অন্ধকার আর অন্ধকার । তাই গৌতম নাথ সহ উনার গ্রামের বাকি পরিবারের লোকজনরা অতি সত্তর বৈদ্যুকতিক পরিষেবার জন্য রাতাবাড়ি সমষ্টির বিধায়ক বিজয় মালাকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিনম্র অনুরোধ জানান ।