সুদীপ দাস : করিমগঞ্জ :
উত্তর করিমগঞ্জের ধরকোনা থেকে ড্রাগস সমেত আটক লঙ্গাই এলাকার এক যুবক । আমির উদ্দিন নামের লঙ্গাই উমাপতি গ্রামের যুবকের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৮ লক্ষ টাকার নেশাজাতীয় সামগ্রী । গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বি.এস.এফ. এবংকরিমগঞ্জ পুলিশ যৌথ অভিযানে নেমে করিমগঞ্জ সুতারকান্দি গামী জাতীয় সড়কের ধরকোনা থেকে আটক করে আমির উদ্দিনকে । সঙ্গে জব্দ করা হয় ড্রাগস সরবরাহে ব্যবহার করা এম.এল. ০৪ বি ৩৮৯৩ নম্বরের এল্টো গাড়ী । বুধবার দুপুর দুইটার দিকে বি.এছ.এফের গোয়েন্দা বাহিনীর অভিযানে নেশাকারবারিকে আটক করা হলে পরে নিয়ে যাওয়া হয় করিমগঞ্জ সদর থানার । জানা মতে, করিমগঞ্জ সুতারকান্দি গামী ৩৭ নং জাতীয় সড়কে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগ এবং দুপুর দুইটার দিকে ধরকোনা থেকে তল্লাশি চালিয়ে এল্টো গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বৃহৎ পরিমাণের ইয়াবা ট্যাবলেট । অবশ্য গোয়েন্দা কর্মীরা আমির নামে একজন ড্রাগস কারবারিকে আটক করলেও পালিয়ে যায় মারুতি গাড়ির চালক সহ অন্য একজন সরবরাহকারি । সূত্রের পাওয়া খবর মতে বৃহৎ অংকের মাদক উদ্ধার হওয়ার সঙ্গে রাঘব বোয়াল দের পরিচয় উদ্ধার করতে জোরদার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আমির উদ্দিনকে । যদি জব্দ হওয়া নেশা সামগ্রীর মুল মালিক কে তা জানা যায়নি । প্রসঙ্গত ৯৬০০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট সঙ্গে ধৃত আমির উদ্দিনের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় একটি মোবাইল ফোন । ৯৬০০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট, মারুতি গাড়ি সহ মোবাইল জব্দ হওয়ায় জব্দ হওয়া সামগ্রীর বাজার মূল্য প্রায় ৪৯ লক্ষ ৫ হাজার টাকা । উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ জিলার পাথারকান্দি সমষ্টির মতো উত্তর করিমগঞ্জ জুড়েই কিন্তু রমরমা হয়ে দাঁড়িয়েছে নেশাকারবারের । শহরতলীর সংলগ্ন গ্রাম এলাকায় নেশা সামগ্রী বিক্রি হওয়ার অভিযোগ কিন্তু বরাবরের । সেইসঙ্গে সীমান্ত পাশ্ববর্তী এলাকার অনেক রাঘব বোয়ালরা জড়িত রয়েছেন নেশা সামগ্রী অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে । বিগত কিছু দিন আগে লাতু থেকে বি.এস.এফ. আটক করে চার লক্ষ টাকার ড্রাগস । এক্ষেত্রে বি.এস.এফ. সহ করিমগঞ্জ পুলিশকে আরোও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে মত পোষন করেন অনেকেই ।