
জগবন্ধু রায়: করিমগঞ্জ: ১৬ সেপ্টেম্বর: ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরবেলা মহালয়া এবং এদিনই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা পূজা। তাই অতিমারি করোনা প্রতিরোধে মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পূজোয় ভিড় এড়াতে কয়েকটি নির্দেশ জারি করলেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক আম্বামুথান এমপি। বর্তমানে করোনা মহামারী ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করায় মহালয়া অনুষ্ঠান ও বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে যাতে জনসমাগম না ঘটে, সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার এক নির্দেশ জারি করেছেন জেলাশাসক। মূলত কোভিড-১৯ মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ভিড় এড়ানো । সাবধানতা এবং প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিতেই করিমগঞ্জ জেলায় ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিন মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজো কোভিড প্রটোকল মেনে আয়োজন করার নির্দেশ জারি করেছেন জেলাশাসক। দুর্যোগ মোকাবিলা আইনের ৩৪ নং ধারা অনুসারে ওই নির্দেশে বলা হয়েছে মহালয়ার দিন সকালে তিন জনের অধিক ব্যক্তির একসাথে চলাফেরা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অকারনে জেলার কোনও অঞ্চলেই মানুষের ভিড় গড়ে তোলা যাবে না। অবশ্য রাস্তায় অধিকতম তিন জন করে চলাফেরা করতে পারবেন এবং সর্বাবস্থায় শারীরিক দুরত্ব মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
তৎসঙ্গে বিশ্বকর্মা পূজায় সর্বাধিক ১৫ জন ব্যক্তি একসাথে উৎসব পালনে উপস্থিত হতে পারবেন। কোনও অবস্থাতেই জেলার কোনও স্থানে অযথা ভিড় জমাতেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া বিশ্বকর্মা পূজা কমিটিগুলোকে কোন ধরনের ভেজা রান্না করা প্রসাদ বিতরণেও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা যাবে বলে নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে।উৎসব উপলক্ষে প্যান্ডেল, ডেকোরেশন, আলোকসজ্জা এবং রাস্তার পাশের স্টল স্থাপনেও নিষেধাজ্ঞা হয়েছে।
পিতৃ-পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণের ক্ষেত্রেও করোনা বিধি মেনে নদীর তীরে তর্পণ করা যাবে। করিমগঞ্জ জেলায় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সভাপতি তথা জেলাশাসক আম্বামুথান এমপির জারি করা নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে যে, যদি কেহ উল্লিখিত নির্দেশাবলী অমান্য করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে জেলা প্রশাসন। তাই সমাজের স্বার্থে ও নিজের সুরক্ষার জন্য বিধি নিষেধ মেনে মহালয়া অনুষ্ঠান ও বিশ্বকর্মা পূজা উদযাপন করতে জেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলাশাসক ।