অভিজিৎ বণিক: রামকৃষ্ণনগর: ২৭সেপ্টেম্বর: রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা খণ্ডের অধীনে আনিপুর নাথ বস্তিতে পাতিয়ালা এমভি স্কুলে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ। কিন্তু কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় মগ্ন শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা। এমভি স্কুলটিতে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন হয় এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের বিগত সাধারণ সভায় সংবাদ মাধ্যমকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে স্কুলের এসএমসির সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তোলে ধরেন। অভিযোগে করে জানানো হয়, স্কুলের মেরামতির কাজকাম এবং স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের (এ.সি.আর) কাজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করে যাচ্ছেন উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জ্যোৎস্না গোস্বামী। তবে এইসব অভিযোগের মধ্যে মেরামতির কাজ সুন্দর ভাবে হবে বলে ওইদিনের সভায় প্রধান শিক্ষিকা কথা দেন । অন্যদিকে এসএমসির সদস্যরা বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজ প্রধান শিক্ষিকা করাতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এদিকে জেলা প্রশাসনের ২৮.০৮.২০২০ তারিখে এক নির্দেশনামা দিয়েছিলেন যে, সাত দিনের ভিতর উক্ত কাজটি শুরু করার জন্য । কিন্তু জেলা প্রশাসনের সেই নির্দেশনামাকে কোনো পাত্তাই দেননি প্রধান শিক্ষিকা। ঐদিনের সাধারণ সভার পর প্রধান শিক্ষিকা সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে উনার স্কুলের ৩৯৬ জন ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা উনুপাতে শিক্ষক মাত্র ছয়জন । তাই তিনি তিনজন অনারারি শিক্ষক কে নিযুক্তি প্রদান করেছেন । এক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এবং উনাদের পারিশ্রমিক প্রধান শিক্ষিকা মহোদয়া স্কুল থেকেই ব্যবস্থা করে থাকেন। অনারারি শিক্ষকদের মধ্যে একজন নজরুল ইসলাম, উনার ভাষ্য মতে উনি দশম শ্রেণি পাশ করেছেন । দ্বিতীয়জন দিপক নাথ, উনিও দশম শ্রেণি পাশ করছেন বলে জানান । এনিয়ে সচেতন মহলের ধারণা, ওরা কি সত্যি সত্যি দশম পাশ করেছেন ? তবে কি পাতিয়ালা এমভি স্কুলে সরকারের দ্বারা নির্ধারিত শিক্ষকরা ভালো করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা দান করতে পারছেন না ? আর তা নাহলে কেন সরকার এবং শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের অনুমতি ছাড়াই এইরকম অনারারি শিক্ষক নিযুক্ত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা।
ঐদিনের সভায় "কোভিড 19" এর প্রোটকলের কোনো নিয়ম নিতি মানা হয়নি, না ছিল সামাজিক দূরত্ব না ছিল বেশির ভাগ ব্যক্তির মূখে মাক্স।
এই ধরনের আইন বিরোধী কাজ প্রধান শিক্ষিকা পূর্বেও করেছিলেন যেটা সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশও পেয়েছিল কিন্তু তা জেনে শুনেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা এখনো কুম্ভকর্ণের ভুমিকা পালন করে চলছেন। এলাকার কিছু সংখ্যক বুদ্ধিজীবী এবং সচেতন মহলের মতে, ছাত্র ছাত্রীদের মিড-ডে মিলের খাওয়ার সামগ্রী বিতরণ নিয়েও ঐ বিদ্যালয়ে বিশাল মাপের অরাজকতা চলছে। এরকম আরো প্রচুর অনিয়ম হচ্ছে স্কুলটিতে । পাতিয়ালা এমভি স্কুলে খুব শিঘ্রই সরকারি তদন্ত চালানো হোক আর তা না হলে ঐ স্কুলের অরাজকতা কখনো শেষ হবেনা এবং ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঢলে পরছে বলে গভীর চিন্তা ব্যক্ত করছেন এলাকার কিছু সংখ্যক বুদ্ধিজীবী এবং সচেতন মহল।