satnewsnetwork

করিমগঞ্জের পাঁচটি বিধানসভা আসনেই জয়লাভের দাবি প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদকের

খবর

বিশ্বরূপ কর: স্যাট নিউজ: ২২ সেপ্টেম্বর:  করিমগঞ্জের পাঁচটি বিধানসভা আসনেই জয়লাভ করবে কংগ্রেস মিত্রজোট।  একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এ জেলা থেকেই শুরু হবে বিজেপি সরকারের  পতনের যাত্রা। আর এটা আঁচ করতে পেরেছেন খোদ বিজেপি দলের নেতারা। যার দরুন যেনতেন প্রকারে কংগ্রেস মিত্রজোটকে আটকাতে প্রশাসন যন্ত্রকে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে বিজেপি। মঙ্গলবার ইন্দিরা ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলেন করিমগঞ্জ জেলার প্রভারী তথা আসাম প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক পংকজ বরবরা। তিনি বলেন, বিগত তিনদিন গোটা জেলা ঘুরে যা বুঝলাম মানুষ পরিবর্তনের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। বিজেপি সরকারের বিরুদ্বে একের পর এক অভিযোগ রয়েছে এ জেলায়। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায়ের নেতৃত্বে করিমগঞ্জ কংগ্রেসের সংগঠন  যথেষ্ট শক্তিশালী। বিজেপি সরকার মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই দেয়নি। গনক্ষোভের কথা আচ করতে পেরে প্রশাসন যন্ত্রকে কাজে লাগয়ে কংগ্রেসকে আটকাতে চাইছে বিজেপি। সোমবার করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দী ও রাতাবাড়ী সমষ্টিতে কয়েকটি সভা করার কথা ছিল। কোভিট প্রটোকল মেনে চলার শর্তে জনসভা করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। প্রথমে রাতাবাড়ীতে সভা আয়োজন করার অনুমতি দিলেও শাসক দলের নেতার চোখ রাঙ্গানিতে অনুমতি বাতিল করে নেয় জেলা প্রশাসন। বিজেপির নেতারা মুখে স্বচ্ছতার পাঠ পরালেও বাস্তবে গোটা রাজ্যে অরাজকতা চালাচ্ছে। বিজেপি সরকারের বিরুদ্বে প্রতিবাদ করতে গেলেই নানাভাবে প্রতিবাদী কন্ঠের টুটি চেপে ধরা হয়। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক আরও বলেন বিগত সাড়ে চার বছরে গোটা রাজ্যকে অনেক পিছনে নিয়ে গেছে সর্বানন্দ সরকার। মানুষ এটা বুঝতে পেরে বিজেপির বিরুদ্বে প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে আসতে চাইছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিজেপি গণতান্ত্রিক দেশে অরাজকতার বাতাবরন তৈরী করতে চাইছে।

news

তিনি বলেন এভাবে প্রতিবাদী মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখা যাবেনা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া দলকে উপযুক্ত জবাব দিতে মুখিয়ে রয়েছেন  রাজ্যের জনগন। সমাগত বিধানসভা নির্বাচনে এ জেলা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে গেরুয়া দল। জেলার মোট পাচটি বিধানসভা সমষ্টিতেই কংগ্রেস এবং তার মিত্র জোটের যথেষ্ট ভালো অবস্থান রয়েছে। অন্যদিকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায় বলেন স্থানীয়  বিজেপি নেতারা ইদানিংকালে ভবিষ্যৎবানী করতে শুরু করেছেন। তারা বলছেন বিধায়ক কমলাক্ষের নাকি দিন ফুরিয়ে গেছে। এ প্রসংগে বিজেপি নেতাদের সাবধান করে বলেন, সারা দেশের মতো এ রাজ্যেও বিজেপির বিরুদ্বে গনক্ষোভ ওঠতে শুরু করেছে। গণদেবতার ক্ষোভ শ্যামাপ্রসাদ ভবনের দিকে ধেয়ে আসছে। তাই আগে নিজেদের সামলান তারপর না হয় কমলাক্ষকে নিয়ে ভবিষ্যৎবানী করবেন। বিজেপি সরকার দেশের জনগনের সাথে প্রতিশ্রুতি ভংগ করেছে। তাই জনগন প্রতিশ্রুতি ভংগকারীদেরকে উপযুক্ত জবাব দিতে সময়ের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। জেলা বিজেপি সভাপতির নামোল্লেখ না করে সতুবাবু বলেন উনারা বলছেন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ তার সাড়ে নবছরের কর্মকান্ডের খতিয়ান তুলে ধরবেন। এর জন্য নাকি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে অনুরোধ করেছে বিজেপি। তিনি তাদেরকে বলেন, আপনাদেরকে  অনুরোধ করতে হবেনা। আমরা নির্বাচনের আগেই সবকিছু বিস্তারিতভাবে  জনগনের উদ্দেশ্যে তুলে ধরবো।  আসলে  পরাজয়ের আশঙ্খাতেই নিজেরাই ভোগছেন শাসকদলের নেতারা। আসন্ন নির্বাচনে জনগনকে জবাব দিতে হবে আপনারা কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আর আপনারা কি কাজ  করেছেন।  এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বদরপুর সমষ্টির বিধায়ক জামাল উদ্দিন আহমেদ, আসাম প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক আমিনুর রশিদ চৌধুরী এবং দাইয়ান হোসেন চৌধুরী।

Posted On: Tuesday, September 22, 2020 7:18 PM
blog comments powered by Disqus