জগবন্ধু রায়: করিমগঞ্জ: ১৩ সেপ্টেম্বর: রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জী নবায়নের কাজে নিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। দীর্ঘ ছয় মাস থেকে প্রাপ্য পারিশ্রমিক থেকে তাঁরা বঞ্চিত। এমর্মে নিজের নায্য দাবি জানিয়ে জেলার ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকপত্র প্রেরণ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ ২০১৫ সাল থেকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা এন আর সি উন্নীতকরণ প্রতিক্রিয়ায় কাজ করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের ভবিষ্যৎ এক চরম অনিশ্চয়তার মুখে। এন আর সি উন্নীতকরণ প্রক্রিয়ার এরাই মুল কারিগর। রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জী নবায়নে দিন রাত এক করে সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জ সহ সমগ্র রাজ্যে বেকার যুবক যুবতীরা কাজ করেও সরকারের সামান্যতম সহানুভূতি তারা আদায় করতে পারেন নি। এমনই অভিযোগ এন আর সির কাজে নিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের। তাঁরা ক্ষোভ ব্যক্ত করে জানান, এন আর সি উন্নীতকরণ প্রক্রিয়ায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে নিযুক্তি প্রদানের পর তাঁরা তাঁদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের উপর গভীর ভাবে আশাবাদী ছিলেন। এই আশায় পথ চেয়ে অনেকের চাকরির বয়সও ইতিমধ্যে পার হয়ে গিয়েছে। কিন্ত সরকার তাদের জন্য বিকল্প কোনো নিযুক্তির সংস্থান রাখে নি। এসব ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এমর্মে স্মারকপত্র পেশ করে জানান, ২০১৫ থেকে কাজ করে আসা করিমগঞ্জ তথা গোটা আসামের ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু তাদের কথা ভাবার কোন সময় নেই সরকারের। আজ অনেকের বয়সসীমা উত্তীর্ণ হওয়ার ফলে তারা নিরুপায়। কারন, তারা আর কোন সরকারী চাকুরীর আবেদন করতে পারবেন না। তাই তারা সরকারের কাছে বিনম্র আবেদন রাখেন যে তাদের যে কোন সরকারি কাজে সংস্থাপন দেওয়া হোক। তাছাড়া বর্তমান কোভিড ১৯ অতিমারীর সময় চলছে। এই সংকটপূর্ণ সময়েও তারা দেশ এবং সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে দেশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্ত দীর্ঘ ৬ মাস থেকে নিজেদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক থেকে তারা বঞ্চিত। জেলার ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা জেলাশাসক, সদর সার্কল অফিসার, শ্রম আধিকারিকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি দাবি সম্বলিত একটি স্মারকপত্র প্রেরণ করেছেন ।
প্রাপ্য পারিশ্রমিকের দাবিতে NRC-র কাজে নিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকপত্র প্রেরণ
Posted On: Sunday, September 13, 2020 3:42 PM