জগবন্ধু:রায়:স্যাটনিউজ:১৯সেপ্টেম্বর: 'আমার মাস্ক নেই পুলিশের বাবার ক্ষমতা থাকলে জরিমানা আদায় বা আটক করে দেখাক'। নিজের ভাতিজার জরিমানা আদায় করায় মাস্ক হীনদের হয়ে নিলামবাজার পুলিশের সঙ্গে দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক আজিজ আহমদ খান প্রকাশ্যে দূর্ব্যবহার করে আসাম পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। পাশাপাশি মাস্ক না লাগানো মুসলীমদের দেখে দেখে লাটিপেটা করে জরিমানা আদায় করছে বলে অভিযোগ তুলে, পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বিধায়ক আজিজ আহমদ খান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে নিলামবাজার এলাকায়।
শনিবার , দুপুরে নিলামবাজারে বিধায়ক আজিজ আহমদ খানের নিকট আত্মীয় জনৈক যুবকের কাছ থেকে মাস্ক না থাকার জরিমানা আদায় করায় বিধায়ক আজিজ আহমদ খান ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন। প্রকাশ্যে আসাম পুলিশকে অপদস্ত করার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সংঘটিত করেন বিধায়ক মহোদয় । তবে এই ঘটনায় বিধায়কের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিলামবাজার পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিককুল।
এদিন বিধায়ক খান পুলিশের সঙ্গে গুন্ডাগিরি দেখানোর পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানী দিতেও শুনা যায় । বিধায়কের মূখে শুনা যায় নিলামবাজার পুলিশ নাকি মুসলীমদের দেখে দেখে মাস্ক না থাকার জরিমানা আদায় করা সহ লাটিপেটা করছে । বিধায়ক এধরনেরই বিভ্রান্তিকর অভিযোগ খাড়া করে নিজের ভাতিজার কাছ থেকে পুলিশের জরিমানা আদায় করার ঝাল মিটান। আজকের এই উদ্ভট ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের লোক সহ সাধারণ জনগন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আইনসভার সদস্য হয়ে বিধায়কের এভাবে আইনভঙ্গের ঘটনা পুলিশের বিরুদ্ধে সমাজের কাছে ভূলবার্তা যাবে। এভাবে পুলিশের কাজে একজন বিধায়কের বাঁধা সৃষ্টির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও সমাজের কাছে বিরূপ বার্তাবাহক বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। বিশেষ করে নিজের ভাতিজার জরিমানা আদায় করার ঝাল মেটাতে অযথা পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন খাড়া করে সাম্প্রদায়িক উস্কানী সহ পুলিশের সঙ্গে দূর্ব্যবহারের জন্য বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলে করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সহ পুলিশের রাজ্যিক পুলিশ মহানির্দেশকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিককুল।
এদিকে , এদিন নিলামবাজার পুলিশের তরফে জানাগেছে , এদিন হাবিলদার শওকত আলী কোভিড সতর্কতামূলক মাক্স চেকিং শুরু করলে জনৈক এক যুবকের মূখে মাক্স না থাকায় জরিমানা আদায় করতে গেলে বিপত্তি ঘটে । ওই যুবক নাকি পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। সে নাকি বিধায়ক আজিজ খানের ভাতিজা বলে দাবি করে পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলেছিল কিছুক্ষনের মধ্যে তোদের বাপ আসছে। যুবকের এধরনের দাম্ভিক হুমকির আধা ঘন্টার মধ্যেই বিধায়ক আজিজ আহমদ খান ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ক্ষমতার বাহাদুরী দেখান । আসাম আরক্ষী তথা বিশেষ করে নিলামবাজার পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল গালিগালাজ করে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রকাশ্যে বলতে থাকেন 'আমারও মাক্স নেই পুলিশের বাবার ক্ষমতা থাকলে জরিমানা আদায় কিংবা আটক করে দেখাক। এই বলে পুলিশকে হুমকি দেন বিধায়ক। যদিও বিধায়ক আসার আগেই বিতর্কিত যুবকের মাক্স না থাকার জরিমানা আদায় করে দেওয়ায় পুলিশ বিধায়কের সঙ্গে বসচায় যায়নি। তবে বিধায়ক আজিজ আহমদ খানের এমন জঘন্য আচরণে বৃহত্তর নিলামবাজার এলাকার সচেতন নাগরিকদের মনে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।