satnewsnetwork

শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাঠদান বন্ধ থাকল কুশিয়ারকুল এইচ এস স্কুলে

খবর

সৈয়দ মুজিব আহমদ : স্যাট নিউজ: ২২ সেপ্টেম্বর: শিক্ষা মন্ত্রীর হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশ অবমাননা করিমগঞ্জের কুশিয়ারকুল এইচ এস স্কুলে । ২১ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে কভিড ১৯ স্বাস্থ্য বিধি মেনে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী অবধি পাঠদান শুরু হলেও ব্যতিক্রম স্কুলটিতে ।  বিভাগীয় নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বন্ধ থাকল কুশিয়ারকুল এইচ এস স্কুল । করিমগঞ্জ শহর নিকটবর্তী কুশিয়ারকুল এইচ এসে সোমবার শুরু হয়নি পাঠদান । শ্রেণী কোঠার মধ্যে যেমন নেই ডেস্ক বেঞ্চ, তেমনি ঘন জঙ্গলে ভর্তি গোটা স্কুল চত্বর। যার মুখ্য কারন হচ্ছে, বিগত চারমাস আগে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এখানে খোলা হয়েছিল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার আর সেখান থেকেই বিপত্তি । গত জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর অবধি এখানে বহিঃরাজ্য থেকে বাড়ি ফেরা লোকদের নিবৃত বাসে রাখা হলেও বর্তমানে কিন্তু পুরো ফাঁকা । তবে গোটা স্কুলে যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্ঠি হয়েছে সেখানে আর নজর দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে । নিবৃতবাসে থাকা লোকদের গত কয়েকদিন আগে এখান থেকে রেহাই দেওয়া হলেই কেল্লাফতে করে রেখেছে জেলার প্রশাসন । সোমবার অবধি আগাছা শেওলা পূর্ণ গোটা স্কুল চত্বর সহ বিছানা, ফাটা লেপ বালিশ, কাপড়, গরুর গোবর সহ আবর্জনাময় গোটা স্কুল ।

news

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার উইথড্র করে দেওয়া হলে সেনিটাইজেশন করা তো দূর, বিদ্যালয়টি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পর্যন্ত করা হয়নি করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে । যার ফলে কুশিয়ারকুল স্কুলে যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । যার কারনে  করোণাতঙ্কে তারা করছে অভিভাবক সহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে । স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভূপেন্দ্র দাসের বক্তব্য মতে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না হওয়ার জন্য স্কুলে সোমবার থেকে পাঠদান করা সম্ভব হয়নি তবে তিনি এনিয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন জেলার প্রধান কর্তাকে । কবে নাগাদ পাঠদান শুরু হচ্ছে তার কিন্তু নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না তিনি নিজে । এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যেও । স্থানীয় এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন যে, আতঙ্কিত তারা নিজে ।  স্কুল প্রাঙ্গণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, দুর্গন্ধময় শ্রেণীকক্ষ, আগাছায় পরিপূর্ণ গোটা স্কুল । এসব পরিবেশে কিভাবে তারা তাদের পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন ।

news

প্রসঙ্গত করিমগঞ্জের জেলা উপায়ুক্ত আন্বামুথান এম পি প্রতিটি রাজস্ব সার্কেলের অধীনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন সার্কেল অফিসারদের । কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের চেয়ারম্যান ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক । এখানে কিন্তু কাঠগড়ায় বলতে গেলে সার্কেল অফিসার সহ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের চেয়ারম্যান । করিমগঞ্জ সদর চক্র আধিকারিক হয়তো কোন ধরনের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য পাঠদান থেকে বঞ্চিত থাকল কুশিয়ারকুল এইচ এস স্কুলের পড়ুয়ারা । এক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের চেয়ারম্যান তথা সমষ্ঠির বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কথাও তোলে ধরেন অনেকে । স্থানীয় নাগরিকদের মতে, বিধায়ক তৎপর থাকলে হয়তো পাঠদানে কোন বিঘ্ন ঘটতো না । অন্যদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থাকার সময় স্কুল থেকে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সামগ্রী নষ্ঠ সহ চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক ভূপেন্দ্র বাবু । এনিয়ে জেলা শাষককে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি করিমগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগও দাখিল করেছেন । কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি জেলা প্রাশাসন সহ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলে জানান তিনি । উল্লেখযোগ্য যে, সীমান্ত জেলায় কোভিড মহামারি নিয়ে বৃহৎ বৃহৎ বেশকটি কেলেঙ্কারির খবরও পাওয়া গিয়েছিল । কুশিয়ারকুল এইচ এস স্কুলের ঘটনায় এগুলির কিছুটা হলেও যেন প্রমান পাওয়া যায় ।

Posted On: Tuesday, September 22, 2020 6:51 PM
blog comments powered by Disqus