satnewsnetwork

করিমগঞ্জে রাজ্যের দ্বীতিয় বৃত্ততম ফুড পার্কের পরিকল্পনা । পাথারকান্দিতে প্রস্তাবিত ফুড পার্ক নির্মাণের জন্য ১৬৫ বিঘা জমি হস্তান্তর করিমগঞ্জ প্রশাসনের ।

খবর

গৌরীশ নন্দী: স্যাট নিউজ: ২৯ সেপ্টেম্বর: করিমগঞ্জে নির্মান হবে রাজ্যের দ্বীতিয় বৃত্ততম ফুড পার্ক । ফুড পার্ক সহ কোল্ড চেন নির্মান হবে জেলার পাথারকান্দি সমষ্ঠির সিপিঞ্জুরীতে । জেলায় মেগা ফুড পার্ক প্রজেক্টর জমি হস্তান্তর করল করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন। সোমবার আসাম উদ্যোগিক পর্ষদের চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাসের হাতে জমির কাগজ তুলে দেন জেলাশাসক আম্বামুথান এমপি। মোট ১৬৫ বিঘা জমিতে নির্মিত হবে এই বিশাল ফুড পার্ক। পাশাপাশি নির্মান হবে কোল্ড ষ্টোরেজ, কোল্ড চেন এবং ভ্যালু এডেড্ প্রজেক্ট । খুব শীঘ্রই পাথারকান্দি সমষ্টির সিপিঞ্জুরী চা বাগান এলাকর আকাইদুমে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

NEWS
            দীর্ঘদিন থেকে করিমগঞ্জ জেলায় একটি ফুড পার্ক নির্মাণের চিন্তাচর্চা ছিল সরকারের। প্রথম অবস্থায় এই ফুড পার্ক নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমির কিছুটা অভাব দেখা দেয়। উত্তর করিমগঞ্জে এত জমি পাওয়া কষ্টকর হয়। তাই সে সময় উদ্যোগিক পর্ষদের চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের সাথে। সাথে সাথে সেখানে জমির ব্যবস্থা করে দেন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল । যাবতীয় কাজকর্ম শেষ হওয়ার পর সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬৫ বিঘা জমির কাগজ তুলে দেওয়া হয় এআইডিসির চেয়ারম্যান মিশন বাবুর কাছে।

NEWS

এ ব্যাপারে আয়োজিত সরাকরি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক আম্বামুথান এমপি জানান, এখানে এই ফুডপার্ক ও কোল্ড স্টোরেজে নির্মিত হলে ২০ থেকে ২৫ হাজার যুবক যুবতীদের রোজগারের ব্যবস্থা হবে । কর্মসংস্থান খুঁজে পাবে স্থানীয় বহু যুবক যুবতীরা। তাছাড়া কাঁচামাল গুলো স্টোরেজে রেখে সময় মত বিক্রি করা যেতে পারে। এককথায় করিমগঞ্জের মানুষের অনেক লাভ হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

NEWS

অন্যদিকে বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল জানান, বিজেপি সরকার কাজে বিশ্বাসী। জনগণের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিগত দিনে অনেক মন্ত্রী বিধায়ক ছিলেন যারা ভোটে জয়ী হওয়ার পর জমি নিয়ে কেবলমাত্র রাবার বাগান ও ফিসারী  করেছেন নিজের নামে। স্থানীয় মানুষদের নিয়ে কোনো চিন্তা চর্চাই ছিল না তাদের। কিন্তু বিজেপি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ এই প্রকল্প পাথারকান্দি সমষ্টিতে নির্মিত হতে যাচ্ছে।

NEWS

মিশন রঞ্জন দাস আশা প্রকাশ করেন এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে। আসামের মধ্যে নলবাড়ির পর এটিই দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুডপার্ক গড়ে উঠবে আগামি দিনে । এত বিশাল ফুডপার্ক নির্মিত হওয়া নিয়ে এলাকার সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন মিশনবাবু। তিনি এলাকার জনগন এবং সমষ্ঠির বিধায়কে অত্যন্ত সৌভাগ্যাবন বলে জানান । এই প্রকল্পটির মাধ্যমে এলাকা তথা সমগ্র বরাক উপত্যকা সহ ত্রিপুরা একটি অংশের কৃষিজীবি এবং বেকার যুবকরা লাভান্বিত হবেন বলে জানান । জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্য সরকারি আধিকারিক সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুন স্বর্ণকার, এলাকার অনেক নির্বাচিত পঞ্চায়েত  প্রতিনিধিরা । 

Posted On: Tuesday, September 29, 2020 9:10 AM
blog comments powered by Disqus